এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে তা জানতে রাজধানীর ২৬টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উক্ত কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্ণি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।
বিদ্যালয়গুলো হলো-ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়, আলিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় ও জান্নাত একাডেমি, সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফায়দাবাদের দ্য চাইন্ড ল্যাব. স্কুল, উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, আজমপুরের হাজী মিল্লাত আলী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, লালবাগের রায়হান কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আহমেদ বাওয়ানী একাডেমী, ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল, আর্মানীটোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নিউমার্কেটের গভর্নমেন্ট ল্যাব হাইস্কুল, ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল, হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দেন একই আদালত। একই সঙ্গে এই অতিরিক্ত ফি আদায় করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন।
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘আট গুণ বাড়তি ফি আদায়’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। এবং যুগান্তরের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে তার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
পাশাপাশি বাড়তি ফি আদায় বন্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বোর্ড চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশ মোতাবেক ১১ নভেম্বর শিক্ষাবোর্ড একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি তদন্ত করে ২৬টি স্কুলের তালিকা করে গত ২৫ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করে।
তাতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের জন্য ওই ২৬টি বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়। তবে এখান থেকে ছয়টি স্কুল অতিরিক্ত ফি ফেরত দিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে কিশোরগঞ্জের গোবিন্দপুরের একটি স্কুলের এক অভিভাবকের পক্ষে হাইকোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমন একটি রিট দায়ের করেন।
ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ এক হাজার ৪০০ টাকা। কিন্তু এর বাইরেও বড় অঙ্কের ফি আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ।