জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এক টেস্ট হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারীদের ১৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা।
খুলনা টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে শুক্রবার রোমাঞ্চ ছড়াতে শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলামের বোলিংয়ে বড় জয় পায় মুশফিকরা।
এর আগে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩১৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে উদ্বোধনী জুটিকে হারায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
সতর্কভাবে শুরু করলেও দলীয় ১১ রানে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিজাদুতে বিভ্রান্ত হন ব্রেইন চারি। ফল তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন চারি (৪)। এরপর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিবলে শর্ট-মিডঅনে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার সিকান্দার রাজা, দলীয় ১৩ রানে। তিনি করেন ৯ রান।
এরপর হ্যামিলটন মাসাকাদজা এবং অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর জুটি বাধলেও কোনো রান সংগ্রহ করতে পারেননি। দলীয় ১৩ রানেই শুরু হয় মধ্যাহ্ন বিরতি। ফিরে এসেই দলীয় ১৫ রানে টেইলরকে ফেরান বাম-হাতি স্পিনার সাকিব। তার বলে টেইলর কোনো রান করার আগেই শুভাগত হোমকে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন।
এরপর ক্রিজে মাসাকাদজার সঙ্গে জুটি বাধেন রেজিস চাকাভা। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এই জুটি ভাঙেন জুবায়ের চাকাভাকে (২৭) মাহমুদুল্লাহর তালুবন্দি করে, দলীয় ৮৫ রানে। এর আগে তিনি মাসাকাদজার সঙ্গে বিপর্যয় সামলানো ৭০ রানের জুটি গড়েন।
আর চা-বিরতির আগের ওভারে জুবায়ের ফিরিয়েছেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্রেগ আরভিনকে (২১)। জুবায়েরের বলে স্ট্যাম্পিং হওয়ার আগে ওই ওভারেই তিনি একটি ছক্কা ও একটি চার হাকান। এরপর টাইগারদের সামনে কাটা হয়ে থাকা মাসাকাদজাকে (৬১) চা-বিরতির পরেই ফেরান সাকিব।
এরপর ওয়ালারকে জাইজুল সরাসরি বোল্ড করেন। আর ফিরতি ওভারে সাকিবের বলে চিগম্বুরা স্লিপে মাহমুদুল্লাহর তালুবন্দি হলে ৮ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দলীয় ১৪২ রানে সাকিবের বলেই নাসাই মাসাঙ্গি মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন। কিন্তু সাকিব, তাইজুল ও জুবায়ের হোসেনের মারাত্মক স্পিন বোলিংয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি তারা। গুটিয়ে গেছে ১৫১ রানে।
এ নিয়ে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট পেলেন। আর ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট শিকারের অনন্য গৌরব অর্জন করলেন।
এর আগে বাংলাদেশ আজ ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৭ সংগ্রহ করে ২৪৮ রানে তাদের ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৩১৪ রান।