অনেকে ঢ্যাড়শ একেবারেই পছন্দ করেন না। কিন্তু অনেকেই জানে না ঢ্যাড়শ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ঢ্যাড়শ খাওয়ার অভ্যাস প্রত্যেককে প্রায় ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম।
১০০ গ্রাম ঢ্যাড়শে আছে-কার্বোহাইড্রেট -৬.৪গ্রাম,লোহা-১.৫ মিগ্রা. প্রোটিন-১.৯ গ্রাম, ক্যলসিয়াম- ৬৬ মিগ্রা, ফ্যাট- ০.২গ্রাম, ফসফরাস- ৫৬ মিগ্রা, আশ- ১.২ গ্রাম,পটাশিয়াম- ১০৩ মিগ্রা, ভিটামিন এ- ৮৮ আই.ইউ, ভিটামিন সি- ১৩ মিগ্রা, নিকোটিনিক অ্যাসিড- ০.৬ মিগ্রা, রিবোফ্লাভিন -০.১ মিগ্রা।
জেনে নিন ঢ্যাড়শ খাওয়ার ১০ উপকারিতা।
১) ঢ্যাড়শ দেহে লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে করে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা দূর করে। অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে নিয়মিত ঢ্যাড়শ খাওয়া উচিত।
২) ঢ্যাড়শের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের মিউটেশন প্রতিরোধ করে এবং ক্ষতিকর ফ্রি ব়্যাডিকেল দূর করে। এতে করে দেহে ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে পারে না। নিয়মিত ঢ্যাড়শ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
৩) ঢ্যাড়শের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলায়েট৷ যা হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪) ঢ্যাড়শের ভিটামিন সি ও এ অ্যাজমার প্রকোপ কমায় এবং অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৫) ঢ্যাড়শে রয়েছে স্যালুবল ফাইবার৷ যা দেহের খারাপ কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬) ঢ্যাড়শের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন ঢ্যাড়শ।
৭) ঢ্যাড়শে ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে৷ যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা দূরে থাকে।
৮) ঢ্যাড়শের ভিটামিন ‘এ’ এবং সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে করে নানা ধরণের ছোটোখাটো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ দূর করা সম্ভব হয়।
৯) গর্ভধারণের নানা সমস্যা ও গর্ভকালীন সময়ে ফেটুসের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট দূর করতে ঢ্যাড়শ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১০) ঢ্যাড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, লুটেইন ও বেটা ক্যারোটিন৷ যা মানবশরীরে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।