রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরও দুইস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ২০দলীয় জোটের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শনিবার রাতে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জসিম উদ্দিন নামে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জসিম ছাত্রশিবিরের নেতা বলে দাবি করেছে পুলিশ। তার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক। ডিএমপি’র তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়াহিদ আলম জানান, শনিবার শ্যামলীতে পুলিশ সার্জেন্টের ওপর ককটেল হামলার অভিযোগে জসিমসহ ৪জনকে আটক করা হয়। রোববার ভোর রাতে ডিবি ও পুলিশের একটি যৌথ টিম তালতলা ডাম্পিং স্টেশনের কাছে আটকৃতদের নিয়ে অভিযানে গেলে দুর্বত্তরা তাদের ওপর গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে জসিম মারা যায়। জসিম ছাত্রশিবিরের মিরপুর পূর্ব থানার সাংগঠনিক সম্পাদক।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্বপন নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি প্রশান্ত পাল জানান, রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্বপন নিহত হন। শনিবার সকালে সদর কোর্টবাড়ি এলাকা থেকে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাত দেড়টার দিকে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বেরোলে ভাটপাড়া এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে স্বপনের সহযোগীরা। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে স্বপন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এলাকাবাসী জানিয়েছে স্বপন বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শনিবার রাতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাজু নিহত হয়েছে। র্যাবের যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আশরাফ উদ্দিন জানান, শনিবার রাতে একাধিক হত্যা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি রাজুকে আটকের পর ভোররাতে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় র্যাব সদস্যরা। ভোর ৫টার দিকে শহরতলীর মড়লিতে যশোর-খুলনা মহাড়কের পাশে ইমাম পেট্রল পাম্পের বিপরীতে একটি ইটভাটার কাছে পৌঁছালেই রাজুর সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি বিনিময়কালে পালাতে গিয়ে নিজের সহযোগীদের গুলিতে রাজু আহত হন। রাজুকে উদ্ধার করে যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।